বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
পাইকগাছা চৌকি আদালত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ: ধসে পড়ার আশঙ্কা, পরিদর্শনে এলেন নির্বাহী স্থপতি পাইকগাছায় বাবুর্চি ফেরদৌসের ইন্তেকাল: শোকের ছায়া দলিল লেখক সমিতির বারবার নির্বাচিত সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাইকগাছায় সাবেক বিএনপি নেতাদের চায়ের আড্ডায় দল পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পাইকগাছায় হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচি পালন ২১ বছরেও যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম নেই: পাইকগাছায় হতাশা আর ক্ষোভে পুড়ছেন নেতাকর্মীরা আবারো বিএসআরএফ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ফসিহ উদ্দীন মাহতাব—সদস্যদের দোয়া ও ভালোবাসা প্রত্যাশা আবারো বিএসআরএফ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ফসিহ উদ্দীন মাহতাব—সদস্যদের দোয়া ও ভালোবাসা প্রত্যাশা কয়রায় পারিবারিক অভিমানে কিশোরীর আত্মহত্যা “শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাইকগাছায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন

জন্মদাতা পিতাকে খুন পরে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ । বিষয়টি অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

নিজস্ব ডেস্ক
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ১০৮ বার পঠিত

অসভ্য মেয়েটা বাবাকে খুন করে দাবী করলো ধর্ষণের অপরাধে বাবাকে হত্যা করেছে। মুহুর্তেই কোনো সত্যতা যাচাই না করে নেড়িবাদীরা তাকে হিরো বানিয়ে দিল৷ পুরো পুরুষজাতির উপর পৃথিবীর সকল নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে পুরুষবিদ্বেষ উস্কে দিল। কিছু পৌরষত্বহীন বিচিওয়ালাগুলোও খুনীটাকে প্রসংশায় ভাসাতে লাগলো। অনেক পুরুষ মানুষ তার বাবার কর্মকান্ডে ধিক্কার থুতু নির্লজ্জ বাজে মন্তব্য করেছেন। এইভাবে কত পুরুষ মানুষের মিথ্যা অপবাদ অপপ্রচার দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে ও মেরে দিচ্ছে। অথচ প্রকৃত রহস্য কেউ কখনও উদ্ঘাটন করেনি । তারই জলন্ত প্রমাণ আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরা হলো ।

 বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা মেয়েটা প্রথম থেকেই একটু উশৃংখলভাবে চলাফেরা করতো। বাবা প্রথমে কিছুটা বাঁধা দিতেন কিন্তু মেয়ে মানতে চাইতো না।

বাবা আব্দুস সাত্তার ভাবতেন- থাক মেয়ে বড় হয়েছে এখন আর এতকিছু না বলি।

এর কিছুদিন পরই বাবা খেয়াল করেন তার মেয়ে তার আরও দুই বান্ধবীকে তাদের সাভারের ফ্ল্যাট বাসায় সাবলেট থাকার জন্যে নিয়ে আসে।

আব্দুস সাত্তার প্রথমে  কিছু বলেননি। ভেবেছিলেন মেয়ের বান্ধবীই হবে হয়তো, বাসায় থাকুক সমস্যা কি।

আব্দুস সাত্তার তাদের জন্যে রুম ছেড়ে দিয়ে নিজে কষ্ট করে ডাইনিং রুমে থাকতেন। মেয়ের বান্ধবীরা ডাইনিং রুমে থাকবে এতে মেয়ের সম্মান নষ্ট হবে তাই নিজেই থাকতেন।

মেয়েটাকে অনেক আদর করতেন তাই মেয়ের কষ্ট সইতে পারতেন না।

তার কিছুদিন পর বাবা লক্ষ করেন মেয়েসহ তার ওই বান্ধবীরা ড্রাগস নিচ্ছে, উগ্র আচরণ করছে। এটা দেখার পর তিনি মনে মনে অনেক কষ্ট পান।

মেয়েকে এসব ছেড়ে দিতে বলেন। সাথে মেয়ের বান্ধবীরা যাতে সাবলেট বাসা থেকে চলে যায় সেটা বলেন।

বান্ধবীদের বাসা ছেড়ে যেতে বলায় মেয়ে প্রচন্ড রেগে যায়। কথা কাটাকাটি হয় এমনকি মেয়ে একপর্যায়ে বাবার গায়ে হাত তুলতেও আসে।

বাবা কি করবেন বুঝতে না পেরে এর মধ্যে একবার থানায়ও গিয়েছিলেন। মেয়ের নামে জিডি করিয়েছিলেন যাতে অন্তত এ বিপথ থেকে মেয়েটা ফিরে আসে।

কিন্তু মেয়ের কোন উন্নতি ঘটে না। দিনদিন আরও উগ্রতা বাড়তে থাকে। বাবা আব্দুস সাত্তারও সীমাহীন কষ্ট নিয়েই ডাইনিং রুমে থেকে দিন পার করতে থাকেন।

এভাবেই আরও কিছু দিন কেটে যায়। বান্ধবীদের সাথে এতটা ঘনিষ্ঠভাবে থাকাটা ধীরে ধীরে সন্দেহের সৃষ্টি করে বাবা আব্দুস সাত্তারের মনে।

তিনি একরাতে মেয়েকে ডাকতে যাওয়ার সময় দুই বান্ধবী এবং মেয়েকে রুমে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।

মানে দুটো বান্ধবী এবং তার মেয়ে লেসবিয়ান ছিল। ছেলেদের প্রতি কোন আকর্ষণ ছিল না তাদের।

বাবা আব্দুস সাত্তারকে ডাইনিং এ রেখে এতদিন অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল মেয়ে এবং বান্ধবীরা।

এবারে বাবা প্রচন্ড কষ্ট পান এবং মেয়েকে তখন বলেন তার বান্ধবীরা যেন এ বাসা থেকে ইমিডিয়েট চলে যায়।

মেয়ে এবারেরও রেগে যায়। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।

আব্দুর সাত্তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কাছে একথা শেয়ার করে সমাধানও চান কিন্তু কোন সুরাহা হয়না।

অন্যদিকে মেয়ে বুঝতে পারে তার বাবা তাদের এ অনৈতিক সম্পর্ক এবং নেশার জগতের জন্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই মেয়ে প্ল্যান করতে থাকে কিভাবে কৌশলে বাবাকে পথ থেকে সরানো যায়।

সেই প্ল্যানমাফিক গতকাল ভাতের সাথে বাবাকে ২০ টা ঘুমের বড়ি খাওয়ায় মেয়েটা। তারপর ভোর ৪ টার দিকে সাভারের ওই বাসাতেই কুপিয়ে হ*ত্যা করে।

পাশাপাশি একটা ধ*র্ষণের একটা মিথ্যা নাটক সাজায় যাতে সবাই তাকে সাপোর্ট করে এবং জামিনে বের হয়ে আসা সহজ হয়।

এমনকি হ*ত্যার করার ওই ভিডিওতেও মেয়েটা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে- জনগণই যেন তাকে সাপোর্ট করে জামিনের ব্যবস্থা করে দেয়। কেননা তার উদ্দেশ্যই ছিল এটা।

পরবর্তীতে সাভার থানার ডিউটি অফিসার হ*ত্যার এ কারণগুলো নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২০২৩ সালেও বাবার নামে ধ*র্ষণের মিথ্যা মামলা করেছিল মেয়েটা। আদালত এবং ফরেনসিক টিম কোনরূপ প্রমাণ না পেয়ে বাবাকে সসম্মানে জামিনে ছেড়ে দিয়েছিল।

বাবা আব্দুস সাত্তার চাইতেন তার মেয়েটা একটু শালীনতার সাথে চলুক, এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুক।

কিন্তু এটাই কাল হলো বাবা আব্দুস সাত্তারের। সবশেষে নিজের আদরের মেয়ের হাতেই নৃশংসভাবে খুন হতে হলো ৫৬ বছর বয়সী এ বাবাকে।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2025 sundarbanpresstv.com
Design & Development BY Hostitbd.Com