পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৮ জুন) বিকেল ৫টায় পাইকগাছা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, দক্ষিণবঙ্গের জনপ্রিয় নেতা, “নোনা পানির সোনার ছেলে” খ্যাত জনাব মনিরুজ্জামান মন্টু।
সভাপতিত্ব করেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ড. আব্দুল মজিদ এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস. এম. ইমদাদুল হক।
নেতাদের গঠনমূলক বক্তব্যে মুখর অনুষ্ঠান
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন,> “আমাকে ভালোবাসার দরকার নেই, দরকার ধানের শীষকে ভালোবাসা, তারেক রহমানকে ভালোবাসা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই। যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি বা কোনো ধরনের অপকর্মে জড়িত, তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।”
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্দুল মজিদ বলেন,> “আমরা বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সামনে জাতীয় নির্বাচন—দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দেবে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করব। দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যই আমাদের মূল শক্তি।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব আসলাম পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, এডভোকেট জি এম আব্দুস সাত্তার, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, শেখ ইমাদুল ইসলাম, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুজ্জামান মুকুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল আহমেদ, সেলিম নেওয়াজ, মোঃ আবুল হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন মানিক, মোহর আলী, শেখ বেনজির আহমেদ লাল, তুষার কান্তি মন্ডল, শেখ আবু তালেব, অ্যাডভোকেট একরামুল হক, সরদার ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন: ইমরান সরদার, মিজান জোয়ারদার, আসাদুল ইসলাম খোকন, আসাদুল ইসলাম ময়না, মফিজুল ইসলাম টাকু, আবু মুসা, মাস্টার বাবর আলী, সন্তোষ সরদার, যোগেশ্বর সানা, কাত্তিক, মোঃ মেছের আলি সানা, রুস্তম গাজী, আনারুল ইসলাম, দেবেন ঘোষ, সাদ্দাম হোসেন, আসাদুল আল গালিব, সোহেল গাজী, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ রাশেদুজ্জামান জনি সহ আরও অনেকে।
উপসংহার
অনুষ্ঠানে দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও গঠনমূলক রাজনীতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।