খুলনার পাইকগাছা চৌকি আদালত ভবন এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ছাদের ফাটল ও জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থার কারণে যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সোমবার (তারিখ দিন) ঢাকা সেগুনবাগিচা অবস্থিত স্থাপত্য অধিদপ্তরের নির্বাহী স্থপতি সুমন বিশ্বাস সরেজমিন আদালত ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ কামরুজ্জামান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ, ও আদালতের আইনজীবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই ভবনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে ছাদ ধসে পড়ে প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে।”
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্কাজ আলী জানান, “ছাদ চুইয়ে courtroom-এ পানি পড়ছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও এখনো নতুন ভবন নির্মাণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
স্থানীয় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধি পরিদর্শনে আসায় আশার সঞ্চার হলেও, দ্রুত নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরুর দাবিও জোরালো হচ্ছে।