প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৩, ২০২৫, ২:১৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ২:০৬ পি.এম
উত্তরাঞ্চলে সোঁনালী আঁশের ফলন ভালো, দাম কম- ৭১বার্তা

উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা পাট চাষাবাদ করে পড়েছেন বিপাকে। ফলন ভালো হলেও দামে খুশি নেই পাট চাষিরা। মৌসুমের প্রথম দিকে পাটের দাম ভালো পেলেও এখন হাট-বাজারে পাটের দাম কমেছে। এজন্য পাটের ন্যায্য দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছে চাষিরা। বর্তমানে প্রতি মণ পাট ১হাজার ৮শ’ থেকে ২হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাভের পরিবর্তে উৎপাদন খরচ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আরয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাওটানা হাট, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ হাট, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাট, চিলমারীর হাট,দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার কারেন্টের হাট সহ আরও অনেক হাটে নিয়মিত বসছে পাটের বাজার। সপ্তাহে দু'দিন বসে এ হাট। দুর দূরান্ত থেকে নৌকা, সাইকেল,ঘোড়ার গাড়ি করে পাট বিক্রি করতে এসেছে চাষিরা। তবে, হাটে এসে পাটের দাম শুনে মন খারাপ পাট বিক্রেতাদের। গত হাটের চেয়ে পাটের দাম প্রতি মণে কমেছে ৩শ থেকে ৪শ টাকা। পরিবহন খরচ আর আবাদের খরচ মিলিয়ে তাদের লাভের অঙ্ক প্রায় শূন্যের কোটায়।
সুন্দগঞ্জের হরিপুর ইউপির চর চরিতাবাড়ি গ্রামের শরফ উদ্দিন শেখ বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে সার পানি, কীটনাশক, আঁশ ছড়ানো মজুরি খরচসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে (৬৩ শতাংশে বিঘা) পাট পাই ১৮ মণ। মোট খরচ হিসেবে আমাদের কোনও লাভই থাকে না। আরেক কৃষক তমিজুর শেখ বলেন, গত দুবছর ধরে পাটের দাম ভালো পা”িছ না। বৃষ্টি নাই, খরায় পাট গাছের জমিতে বাড়তি পানি দিতে হয়। তাই খরচও বেশি হচ্ছে। সে তুলনায় লাভ নাই। মীরগঞ্জ হাটের পাট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি গ্রামঘুরে ১হাজার ৮শ টাকা মণে পাটগুলো কিনছিলাম। আজকে সেই কেনা দামেই বিক্রি করতে হলো। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, হাটের খাজনা হিসাব করলে লাভ থাকছে না। কুড়িগ্রাম জেলা মুখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয়ের পাট পরিদর্শক এটিএম খায়রুল হক বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে পাটের দাম ভালো ছিল। এখন পাটের দাম কমছে।সম্পাদনায় - শেখ মোস্তারি জান্নাত।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ খোরশেদ আলম
মোবাইল -০১৭২৬০২৭২৬৪/০১৯৭০১১৫১২৫/ ০১৬১০১১৫১২৫
অফিসের ঠিকানা:
বাতিখালী, পাইকগাছা পৌরসভা ,
৭ নং ওয়ার্ড, বাড়ি নং ১৯২ , পোনা মার্কেট , পাইকগাছা, খুলনা।
Design & Developmen By HosterCube