ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রামের সব-কটি উপজেলায় গরুর লাম্পিস্কিনের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কৃষকের দুই-একটি গরু এই রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। রোগের প্রাদুভাব সমগ্র উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত গরু ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়ই চলেছে।
ফলে কৃষক ও খামারিরা তাদের গরু নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সব এলাকায় এই ছড়িয়ে পড়েছে।
খামারিরা আগে থেকে প্রতিশেধক নেওয়ায় খামারের গরু ও দেশি গরু আক্রান্তের সংখ্যা কম। বিদেশী গরু যেমন,শাহীওয়াল, ফিজিয়ান ও বাছুর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি।
কৃষকদের সাথে কথাবলে জানাগেছে, এরোগে গরুর প্রথমে প্রচন্ড জ্বর হয়। নাক ও মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে। খাওয়া বাদ দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক দিনের মধ্যে সারা গায়ে গুটি উঠে। গুটি ফুলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে গরু মারা যায়।
উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক মজিবর রহমানের ৩টি গরুর মধ্যে ২টি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ডাক্তারি ও কবিরাজি চিকিৎসার পর গরু সুস্থ হলেও এখনও খুবই দুর্বল। ২টি গরুর চিকিৎসা করতে তার ৪০০০টাকা খরচ হয়েছে। রাবাইতারি গ্রামের হজরত আলী বলেন, এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
তার ৩টি গরুর মধ্যে ২টি গরু অসুস্হ হয়েছে। ডাক্তারি ও কবিরাজি চিকিৎসার পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন ও গ্লুকোচ খাইয়েছেন। বর্তমানে গরু কিছুটা সুস্থ। এতে তার ২০০০০ টাকা খরচ হয়েছে।
চন্দ্রখানা গ্রামের আমিনুল, ছাত্তার, প্রদীপ রায় ও মন্টু রায় চিকিৎসা করার পরেও ল্যাম্পি স্কিন রোগে প্রত্যকেরই একটি করে গরু মারা গেছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা:মো: মওদুদ হাসান বলেন , রোগাক্রান্ত গরু কেউ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ওপরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরমর্শের মাধ্যমে কৃষক ও খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া অনুকুলে। ফলে ল্যাম্পি স্কিন রোগ বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।সম্পাদনা- মোস্তাফিজার বাবলু।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ খোরশেদ আলম
মোবাইল -০১৭২৬০২৭২৬৪/০১৯৭০১১৫১২৫/ ০১৬১০১১৫১২৫
অফিসের ঠিকানা:
বাতিখালী, পাইকগাছা পৌরসভা ,
৭ নং ওয়ার্ড, বাড়ি নং ১৯২ , পোনা মার্কেট , পাইকগাছা, খুলনা।
Design & Developmen By HosterCube